:
ব্রেকিং নিউজ

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের কল্যাণ, উন্নয়ন ও অধিকারের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে-মান্না

top-news

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু)র সাবেক জিএস মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা বিষয়ে মতভিন্নতা আছে। কিন্তু জাতির স্বার্থে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের কল্যাণ, উন্নায়ন ও অধিকারের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পদ-পদবি ও ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে  এক পতাকাতলে আসতে হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন একটাই। আর সেটি হচ্ছে, সমাজ সেবা অধিদপ্তরে ২০২১ সালে নিবন্ধনকৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ।চাকসুর সাবেক সব ভিপি, জিএস এবং দেশবরণ্য ব্যক্তিরা এই এলামনাইয়ের সঙ্গে আছে।সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকটগুলো সমাধান ও উত্তরণ সম্ভব। 


শুক্রবার  বিকালে  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য  মাহমুদুর রহমান মান্না এ কথা বলেন।

 
বর্ধিত সভায় ব্ক্তব্য রাখতে গিয়ে চাকসুর সাবেক জিএস মাহমুদুর রহমান মান্না নস্টালজিয়ায় হারিয়ে যান। তিনি বলেন, আমার ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে! ক্যাম্পাসের নানা সৃত্মি উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঢাকসুর ২ দফা ভিপি ছিলাম। কোন দিন ক্লাস করেননি কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন নিয়মিত ক্লাস করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাকে এখনো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পস টানে, ফিরে ফেতে চাই, সেই হারানো মধুময় দিনগুলো। 


বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী মরহুম জামাল নজরুল ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।  আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে গর্ববোধ করি। মাত্র ৮২ জন ছাত্র নিয়ে অনেকটা স্কুলের মতো যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ বিদেশে নেতৃত্ব দিচ্ছে।


মাহমুদর রহমান আক্ষেপ করে বলেন, বিগত ১৬ বছরে চট্টগ্রাম এলামনাই এসোসিয়েশনে তাকে ডাকা হয়নি। এমনকি চাকসুর বোর্ড থেকেও তার নাম নিশানা মূছে ফেলা হয়েছে।   

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মূখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া সাথী বলেন,  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই এসোসিয়েশনের নেতৃত্ব নিয়ে যে বিভক্তি চলছে তা এখনই সমাধান হওয়া দরকার। ব্যক্তি স্বার্থ পরিহার করে সাবেক চাকসু ভিপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম ফজলুল হক ও ব্যারিস্টার মুনতাসিম বিল্লাহ ফারুকীর নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান মূখ্য সচিব। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি, সাবেক চাকসু ভিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম ফজলুল হক। 

সভাপতির বক্তব্য, তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ জাতিকে কোনো শক্তিই পদানত করতে পারে না। একতা মানুষের মধ্যে মহাশক্তির সঞ্চয় ঘটায়, পক্ষান্তরে অনৈক্য ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনে। আজকের বিশ্বে যারা উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে পরিচিত তারা নিজেদের মধ্যে সব ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্যে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। একজন মানষের শক্তি বা সামর্থ খুবই সীমিত। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সবাইকে সমাজ সেবা দপ্তরের অনুমোদিত  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। 

আগামী ১৫ই নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ও শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা ও মেজবান অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম ফজলুল হক। 

 
এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, প্রধান উপদেষ্টার মূখ্য  সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া সাথী, নৌ সচিব  মুহাম্মদ ইউসুফ, সাবেক চাকসু ভিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি এএম সামশুজ্জামান হীরা, ভিপি মজহারুল শাহ চৌধুরী, এডিবি’র সাবেক পরিচালক ড. মাহফুজ উদ্দিন  আহমেদ,  সাবেক চাসুর জি এস আজিম উদ্দিন আহমেদ. সৈয়দ সগির আহম্মেদ, মুজতবা কামাল, অধ্যাপক ইউনুচ চৌধুরী, মহিউদ্দিন বাদল, মোঃ রেজাউল করিম, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সাংবাদিক সালাহউদ্দিন মো: রেজা, অধ্যাপক শেখ মোঃ মহিউদ্দিন, দিদারুল আলম মজুমদার, মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, প্রফেসর আবু তাহের চৌধুরী, শওকত আলী নূর, আকতার কামাল চৌধুরী, ড. নূরী আক্তার,  এম.আর মিল্টন, নুরুল আলম কিরণ, যোবাইর হাসান মানিক, আফরোজা লাকী, আমির হোসেন মানু, অপু বৈদ্য প্রমূখ। 

 
বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণার্থে  ম্যানটরশিপ, জব ফেয়ার / প্লেসমেন্ট সাপোর্ট,  ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা, দক্ষতা উন্নয়ন ওয়ার্কশপ, বৃত্তি প্রদান, ভৌত আবকাঠামো উন্নয়ন ( তথ্য কেন্দ্র , কম্ফোরট সেন্টার , লাইব্রেরি ও গবেষণাগার উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন, এলামনাই অ্যাওয়ার্ডস প্রচলন, ইউনুস চেয়ার প্রবর্তন , সোশাল ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। 


https://www.newspluse24.com/public/uploads/images/manualAds/maanmanualAds02022025_111955_adds.jpg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *